নরসিংদীতে চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় রহস্য উদঘাটন, মালামাল উদ্ধার ও ৪ আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃ্হস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাধবদী থানার পাথর পাড়া গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া (২৭), একই এলাকার বকুলের ছেলে হ্নদয় (২৭), মৃত ঈমান আলীর ছেলে নবী হোসেন (৩৫), বালুশাইর গ্রামের মুকসসেদ আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩২)।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযানের একপর্যায়ে ৯ জুলাই মাধবদি থানার একটি টিম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামি বাচ্চু মিয়াকে (২৭) মাধবদী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে একই দিনে ঘটনার সাথে জড়িত সহযোগী আসামি হৃদয়, সোহেল এবং নবী হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মাধবদী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের নিকট হতে ব্যাটারি চালিত রিক্সার ২টি ব্যাটারি, রিক্সার ১টি চাকা ও একটি হেডলাইট সংযুক্ত মিটার বক্স উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য: এর আগে চলতি বছরের গত ১৬ জুন নরসিংদী শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে মদনপুরগামী রাস্তার মাধবদী থানা এলাকার দামের ভাওলা ৫ নং ব্রিজের আনুমানিক ২০০ গজ পূর্বদিকে দামের ভাওলামুখী কাঁচা রাস্তায় একটি বড়ই গাছের সাথে গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালক মোঃ নুরুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
মাধবদী থানার ভাটপাড়ার বাসিন্দা মো: নুরুল ইসলাম ১৫ জুন ২০২৪ তার ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। ঐদিন রাত ৮ টার দিকে মো: নুরুল ইসলাম তার ভাইকে মোবাইল ফোনে জানায় তার ব্যাটারি চালিত রিকশাটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১৬ জুন সকাল আনুমানিক ৬টায় সময় একই স্থানে তার মৃতদেহ পায়। এই ঘটনায় গত ১৯ জুন নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম এর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।