মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সরকারী এম.এম আলী কলেজের বিএসএস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন নামের এক শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে মিছিল করানোর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সমিতির সদস্য জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে আন্দোলন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগত শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে ধরে নিয়ে আসে।
প্রক্টর অফিসে এ বিষয় নিয়ে জরুরী সভায় শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শাহীন উদ্দিন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মুছা মিয়া, জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আজিজুল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জরুরী সভা শেষে অভিযুক্ত সাংবাদিক ও বহিরাগত শিক্ষার্থীকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
সভার আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২.৫ বছর (নিয়মানুযায়ী মেয়াদ ১ বছর), সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার, সমিতিতে সাধারণ সম্পাদকের অংশগ্রহণ না থাকাসহ নানা অভিযোগে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম 'স্থগিত' করা হয়। এছাড়া গঠনতন্ত্র ও বৈধ নথিপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রে জমাদান পূর্বক সাংবাদিক সমিতির নামে নিবন্ধন গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।