নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার চলছে। নোট গাইড ও কোচিং ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা নষ্ট হওয়ার ভয়ে এসব করছে। অন্যদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল অপপ্রচারে ইন্ধন যোগাচ্ছে। সবাইকে বলব সত্য জেনে নেবেন, গুজবে কান দেবেন না।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর ইডেন কলেজের ১৫০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার হাতে আমরা একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি পেয়েছি। পাশাপাশি ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমরা একটি জাতীয় শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একুশ শতকের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য। তারা যেন স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হতে পারে।
স্বাধীন বাংলাদেশে শুরুতে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৬ শতাংশ। এখন দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ দেশের প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন কিছুটা হলেও পড়তে ও লিখতে পারেন। শুধু ধনী ও মধ্যবিত্তই নয়, নিম্নবিত্ত, স্বল্প আয়ের এমনকি বিত্তহীন মানুষের মধ্যেও শিক্ষার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্রায় শতভাগ অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে, দেশে সরকারি, বেসরকারি, কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও পরিচালিত বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। প্রাথমিক স্তরে দুই কোটির বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে, যার মধ্যে মেয়ে ও ছেলেশিশুর সংখ্যা সমান।