ঢাকা | |

সরকারিভাবে জরায়ু ক্যান্সার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন শুরু

ঢাকা বিভাগে আজ থেকে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ কিশোরীরেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই টিকা পাবে। বর্তমানে
  • আপলোড সময় : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, দুপুর ১২:৫২ সময়
  • আপডেট সময় : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, দুপুর ১২:৫২ সময়
সরকারিভাবে জরায়ু ক্যান্সার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন শুরু ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিভাগে আজ থেকে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ কিশোরী
রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই টিকা পাবে। বর্তমানে এইচপিভি টিকার জন্য শুধুমাত্র ঢাকা বিভাগের ছাত্রীগণ/ কিশোরী ( ৫ম - ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহিঃর্ভুত কিশোরী) নিবন্ধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে এই টিকা গ্রহণ করা যাবে।


১ম ধাপে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, ২য় ধাপে এইচপিডি কর্মসূচিতে নিবন্ধ, ৩য় ধাপে টিকাদান কার্ড ডাউনলোড, ৪র্থ ধাপে টিকা কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করতে হবে।

টিকা গ্রহণের সুবিধা
  • বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
  • এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর।
  • জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট।
  • এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

টিকা গ্রহণের স্থান
  • ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী – অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরী – ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে।
  • টিকাগুলো কারা গ্রহণ করতে পারবেন
  • ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি অথবা সমমানে অধ্যয়নরত ছাত্রী।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরী।
টিকার ডোজ সংখ্যা: ১ টি।

জরায়ু ক্যান্সারকে বলা হয় 'নীরবঘাতক'। কারণ এই অসুখে আক্রান্ত হলেও অনেক নারী এর লক্ষণ বুঝতে পারেন না। আবার ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক সময় গুরুত্ব দেন না।
নারীরা জরায়ুমুখ ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের স্থান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার নারী এর ফলে মারা যান।
আর ৯০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন করে ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর শরীরে শনাক্ত হচ্ছে জরায়ুর ক্যান্সার। আর বছরে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসকে (এইচপিভি) জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১০০টিরও বেশি প্রজাতির এইচপিভি আছে।
গবেষক ও চিকিৎসকরা বলছেন, জীবাণু প্রবেশের পর ১৫ থেকে ২০ বছরও সময় লাগে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হতে। তার মানে হলো এটি নির্ণয়ে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: স্টাফ রির্পোটার।

কমেন্ট বক্স